ই কমার্স সেল বাড়াতে পারসুয়েসিভ প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখার টেকনিক 

যেকোনো ই -কমার্স বিজনেসের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে কাস্টমারদেরকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস পারচেজ করার জন্য কনভিন্স করা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিজনেস ওনারের যে মিসকনসেপসন থাকে সেটা হলো “প্রোডাক্টের ছবির সাথে কোনোভাবে একটু ডেসক্রিপশন অ্যাড করে দিলেই সেটি পটেনশিয়াল কাস্টমারকে অ্যাট্র্যাক্ট করে।” এ ধারণা থেকে তারা তাদের কন্টেন্টগুলো তেমন একটি গুরুত্ব দিয়ে লিখেন না, ফলে সেটি অডিয়েন্সদের কাছে গুরুত্ব পায় না এবং এর ইমপ্যাক্ট  সেলস এর উপর পড়ে। 

আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কতটা পারসুয়েসিভ বা কনভিনসিং ওয়েতে লিখছেন, তার ওপরেই একজন কাস্টমার আপনার সাইট থেকে পারচেজ করবেন কিনা সেই ডিসিশন নেয়। 

জানবো ই-কমার্স বিজনেসে কিভাবে প্রোডাক্টের জন্য পারসুয়েসিভ ডেসক্রিপশন লিখা যায় সেই বিষয়ে।  

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন সেল জেনারেট করতে কতটুকু হেল্প করে?

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এমন একটি ব্র্যান্ড এলিমেন্ট যেটার কোয়ালিটি ভালো হলে বিজনেসের সেলস নাম্বার বৃদ্ধি পায়।যে ই-কমার্স সাইটে যত ডিটেইলড ভাবে প্রোডাক্ট সম্পর্কে তুলে ধরা হয়, সে সাইটের প্রতি কাস্টমারদের একটা আলাদা ট্রাস্ট গ্রো করে, যে ট্রাস্টই পরবর্তীতে তাদের পারচেজের ডিসিশন নিতে ইনফ্লুয়েন্স করে। তখন দেখা যায় ওই সাইট থেকেই ক্লায়েন্টরা রিপিটেডলি কেনাকাটা করেন। 

আবার যদি সাইটে যেনতেন ভাবে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন পোস্ট করেন, তাহলে সেটি কাস্টমারদের জন্য কোন ভ্যালু অ্যাড করে না। নিলসেন নরম্যান গ্রুপের একটা রিসার্চ রিপোর্টে দেখা গেছে, যদি প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন সঠিকভাবে প্রোভাইড করা না হয়, অর্থাৎ যে ইনফরমেশনগুলো একজন কাস্টমারের পারচেজের ডিসিশনটা নিতে প্রয়োজন, সেগুলো যদি মিসিং থাকে, তাহলে ২০ পারসেন্টের মতো পারচেজ ফেইলিউর হতে পারে। অর্থাৎ এই পারচেজ ফেইলিউরের পেছনে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনটা প্রোপারলি ক্রাফটিং না করা পটেনশিয়ালি রেসপনসিবল। 

ধরুন, নিজের কিচেনের জন্য অনলাইনে একটা ব্লেন্ডার পারচেজ করার আগে আপনি একটা ই-কমার্স সাইট ভিজিট করলেন। ওই দেখতে পেলেন, সেখানে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে ব্লেন্ডারের মডেলের নাম, প্রাইস এবং ব্লেন্ডারটা কোন দেশে ম্যানুফ্যাকচারড সেটা লেখা আছে। আপনি তখন ডিসিশন নিতে পারলেননা যে ওই ব্লেন্ডারটা কিনবেন কিনা! 

তারপর আপনি আরেকটা সাইট ভিজিট করলেন।  সে সাইটে ওই একই ব্লেন্ডারের ডেসক্রিপশনে দেখতে পেলেন সেখানে ব্লেন্ডারের মডেল, প্রাইস ইত্যাদির পাশাপাশি এটার সাহায্যে কী কী ব্লেন্ড করা যাবে এবং যাবেনা, এটা ইউজ করার বেনিফিটগুলো কী, অন্যান্য ব্লেন্ডারের চাইতে এটা কেন বেটার, কিভাবে এটা ক্লিন করতে হবে, কতদিনের গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি আছে ইত্যাদি সবই মেনশন করা আছে। এখন ন্যাচারালিই আপনি কিন্তু সেকেন্ড সাইটটা থেকেই ব্লেন্ডারটা কিনবেন, কারণ ওই সাইটে প্রোভাইড করা ডিটেইলড ইনফরমেশন দেখে আপনি বুঝতে পেরেছেন এই ব্লেন্ডারটাই আপনার প্রয়োজন, যা আপনাকে পারচেজ করার ডিসিশনটা নিতে হেল্প করেছে, যেটা প্রথম সাইটটা করেনি। 

এখন ভেবে দেখুন, যদি প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখতে যথেষ্ট এফোর্ট না দেন, তাহলে নিজের ই-কমার্স বিজনেসে কি এক্সপেকটেড সেলস জেনারেট করতে পারবেন? কখনোই নয়!

কাস্টমারদের কনভিন্স করার জন্য কিভাবে পারসুয়েসিভ প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখবেন? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই মাইন্ড ব্লোয়িং সেই রাইটিং হ্যাকসগুলো সম্পর্কে। 

১। কাস্টমারদের বোঝান, “আপনার প্রোডাক্টেই রয়েছে তাদের প্রবলেমগুলোর সল্যুশন”

আপনারা ই-কমার্স প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখার সময় “কাস্টমারদের প্রবলেম সলভ করতে হবে” – এই মাইন্ডসেট রাখুন। নিজের লেখায় কাস্টমারদের ডিমান্ডের বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন।  

আপনি যদি চান কাস্টমাররা আপনার সাইট থেকেই প্রোডাক্ট পারচেজ করুক, তাহলে আপনাকে কাস্টমারদের পয়েন্ট অফ ভিউ বুঝে তারপরেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইনফরমেশন ইনক্লুড করতে হবে। অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনটা কাস্টমারদের পেইন পয়েন্ট কনসিডার করে ইউনিকভাবে লিখতে হবে, যাতে করে তারা বোঝেন আপনার প্রোডাক্টই তাদের প্রবলেম বা ডিমান্ড ফুলফিল করতে পারে এবং তাদের অ্যাকচুয়াল বেনিফিট দিতে পারে। 

যেমন ধরুন, আপনার সাইটে যদি ডেজার্ট তৈরির কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে, তাহলে ওই ইনগ্রেডিয়েন্টটা সম্পর্কে সাধারণভাবে লাইনের পর লাইন না লিখে এভাবে লিখতে পারেন, “যেকোনো ওকেশনে সবাইকে খুশি করতে ডিলিশিয়াস ডেজার্ট বানাতে চাইলে ইউজ করুন “x”  ইনগ্রেডিয়েন্ট। ” তারপর ওই ইনগ্রেডিয়েন্টের কোয়ালিটি ভালো না হলে সেটা যে ডেজার্টের টেস্ট নষ্ট করে দিতে পারে সেটা মেনশন করুন।  খেয়াল করে দেখুন, এভাবে লিখলে একজন কাস্টমার বুঝতে পারবেন যে ডেজার্ট বানানোর সময় ওই স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্টটা ভালো না হলে তার বানানো ডেজার্ট কখনোই টেস্টি হবেনা। তখন আপনার সাইট থেকেই তার প্রোডাক্টটা পারচেজ করার ইন্টারেস্ট বেড়ে যাবে।

০২। প্রতিটা প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশনে রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন ফ্রেজ রাখুন

 

প্রিংগেলস চিপস ছোট বড় সবার কাছে অত্যন্ত পছন্দের। “Once You Pop,You Can’t Stop” এই একটা রাইমিক লাইন দিয়ে ব্র‍্যান্ডটা জায়গা করে নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের মনে। বলা হয়ে থাকে, রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন লাইনগুলো মনে রাখা আমাদের ব্রেইনের জন্য কম্পারেটিভলি অনেক ইজি। 

তাই যখন ই-কমার্স সাইটের জন্য প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখবেন, চেষ্টা করবেন  রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন কিছু ফ্রেজ অ্যাড করতে। এই ফ্রেজটাতে যদি কাস্টমারদের ডিমান্ডের পারস্পেকটিভটা ইনক্লুড করতে পারেন, তাহলে আরো বেটার। যেমনঃ যদি আপনি কোন একটি ব্র‍্যান্ডের বেবি বাউন্সারের ডেসক্রিপশন লেখেন, তাহলে রিদমিক ফ্রেজ হিসাবে লিখতে পারেন, “বেবি বাউন্সারে দোল খেতে খেতে, আপনার  বাবু ঘুমাবে শান্তিতে!” 

কাস্টমাররা যখন ডেসক্রিপশনটা পড়বে, তখন আপনার বিজনেস সম্পর্কে তাদের মাথায় একটা আইডিয়া সেট হয়ে যাবে। যা সেল জেনারেট করার পসিবিলিটি অনেকখানি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম ।

০৩। প্রোডাক্টের ভালো দিকগুলো লেখায় রিপিট করুন 

কাস্টমারদের আপনার ই-কমার্স সাইট থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করাতে চাইলে একটা প্রোডাক্টের সবচেয়ে অ্যাট্রাকটিভ বা বেনিফিশিয়াল ফিচারগুলো প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে কয়েকবার মেনশন করবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোনো কন্টেন্টে একটা ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন বারবার রিপিট করা হয়, তাহলে তা পরবর্তীতে মানুষের অ্যাট্রাকশন বিল্ড আপ করতে হেল্প করে।

যদি আপনার প্রোডাক্টের এমন কোনো দিক থাকে যা কাস্টমারদের ডিমান্ড ফুলফিল করতে ইফেকটিভলি হেল্প করে, তাহলে অবশ্যই সে দিকটা লেখায় দুই থেকে তিনবার মেনশন করুন৷ যেমন ধরুন, আপনি ফেয়ারনেস ক্রিমের ডেসক্রিপশন লিখছেন, যেটা ৭ দিনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে বলে ক্লেইম করে। 

এই ইনফরমেশনটা অবশ্যই আপনার পটেনশিয়াল কাস্টমারদের ডিমান্ড ফুলফিল করতে ক্যাপাবল। তাই যদি এটা আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে রিপিটেডলি ইনক্লুড করেন, তাহলে দেখতে পাবেন আগের চাইতে অনেক বেশি সংখ্যক কাস্টমার ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করছেন। 

০৪। কাস্টমারদের ট্রাস্ট গেইন করতে প্রোডাক্টের নেগেটিভ সাইড মেনশন করার সৎ সাহস রাখুন

অনেকেই মনে করেন প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে  শুধুমাত্র একটা প্রোডাক্টের পজিটিভ সাইডগুলো উল্লেখ করতে হয় । কিন্তু সত্যি বলতে প্রতিটা প্রোডাক্টেরই অন্তত একটা হলেও নেগেটিভ দিক থাকে। 

কাস্টমারদের ট্রাস্ট গেইন করতে চাইলে প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন লেখার সময় সবসময় ট্রান্সপারেন্সি মেনটেন করুন। এ কনসেপ্টটাকে ইংরেজিতে ব্লেমিশিং ইফেক্ট বলা হয়। অর্থাৎ কোনো প্রোডাক্টের ছোট্ট একটা ফ্ল তুলে ধরার মাধ্যমে কাস্টমারদের সামনে নিজের অথেন্টিসিটি তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের ট্রাস্ট গেইন করা। 

ধরুন, আপনি কোনো একটা বিউটি ক্রিমের ডেসক্রিপশন লিখছেন। ওই ক্রিমটার অনেকগুলো ভালো দিক থাকলেও ক্রিমটা ওপেন করার ৬ মাসের মধ্যেই ইউজ করে ফেলতে হয়। এটা কিন্তু আপনার ক্রিমের একটা ফ্ল। এখন আপনি যদি প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনের সাথে এই ব্যাপারটা মেনশন করে দেন, তাহলে কাস্টমাররা বুঝতে পারবেন এটা আপনার বিজনেস হলেও আপনি কাস্টমারদের স্কিন ভালো রাখা নিয়ে সত্যিকার অর্থে কনসার্নড। তখন কাস্টমারদের আপনার সাইটের প্রতি বিশ্বাস জন্মাবে এবং স্বাভাবিকের চাইতে আপনার অনেক বেশি সেল জেনারেট হবে। 

০৫। লেখায় এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট অ্যাপ্লাই করুন 

কাস্টমারদের অ্যাট্রাক্ট করার জন্য যে টেকনিকগুলো সবচেয়ে বেশি ইফেকটিভ রোল প্লে করে, সেগুলোর মধ্যে একটা হলো এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট।এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট কি ?  

এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট হলো একজন মানুষকে এমন কোনো অ্যাডভান্সড রিওয়ার্ড দেয়া, যে রিওয়ার্ড পেলে ওই মানুষটা কোনো একটা স্পেসিফিক গোল অ্যাচিভ করতে আরো বেশি মোটিভেটেড ফিল করে এবং ইভেনচুয়ালি ওই গোলটা ফুলফিল করেও ফেলে। 

আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন, এই টেকনিকটা অ্যাপ্লাই করে জনপ্রিয় ব্র‍্যান্ড স্টারবাকস দারুণ সাফল্য পেয়েছিলো। তারা তাদের কাস্টমারদেরকে প্রতিবার ড্রিংক পারচেজ করার পর রিওয়ার্ড হিসেবে একটা করে গোল্ড স্টার দিতো। এভাবে বারোটা গোল্ড স্টার পেলে ওই কাস্টমার একটা করে ফ্রি ড্রিংক পেতেন। মূলত ওই ফ্রি ড্রিংকটা পাওয়ার আশায় অনেক মানুষ স্টারবাকসের রিওয়ার্ড প্রোগ্রামে অংশ নেয়, যার ফলস্বরূপ স্টারবাকসের সেল অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই আপনিও যদি এমন সাকসেস পেতে চান, তাহলে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন লেখার সময় এমন কোনো রিওয়ার্ডের প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন। 

০৬। ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম টেকনিক অ্যাপ্লাই করুন 

ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম হচ্ছে এমন একটা স্পেশাল রাইটিং টেকনিক যেখানে একজন কাস্টমারকে কনফিউজড করে দেয়ার ট্রাই করা হয়। তবে কনফিউজড শব্দটা দেখে ভয় পাবেন না! কারণ এই টেকনিকে এমন ভাবে মানুষকে কনফিউজড করা হয়, যাতে করে পরবর্তীতে কাস্টমাররা প্রোডাক্ট পারচেজ করার ফাইনাল ডিসিশন নিতে পারেন। ডেভিস অ্যান্ড নোলস ১৯৯৯ সালে এই সুপার ইফেকটিভ টেকনিকটা আবিষ্কার করেন। 

এবার এই টেকনিকের একটা উদাহরণ দেই। আপনি এক ডজন কলমের প্রাইস ৬০ টাকা না লিখে যদি লেখেন, “১২ টি কলমের দাম ৫ টাকা”,  সেক্ষেত্রে কাস্টমারদের সংখ্যা আগের চাইতে বাড়বে। এটাই হলো ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম টেকনিক।

০৭। কাস্টমারদের কনভিন্স করতে লেখায় পাওয়ার ওয়ার্ডস ইউজ করুন 

পাওয়ার ওয়ার্ড কী? একদম সহজ বাংলায় পাওয়ার ওয়ার্ড হচ্ছে এমন কিছু শব্দ যেগুলো একজন কাস্টমারের মাইন্ডে শক্ত প্রভাব বিস্তার করে। যদি আপনি আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে এই ওয়ার্ডগুলোর অন্তত একটাও ইউজ করেন, তাহলে একজন কাস্টমার বুঝতে পারবেন যে ওই প্রোডাক্টটা ইউজ করলে তিনি এক্সাক্টলি কেমন ধরনের বেনিফিট পেতে পারেন। 

পাওয়ার ওয়ার্ড বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ  আপনি যদি লেখায় বেস্ট, ফ্রি,ডিসকাউন্ট ইত্যাদি ওয়ার্ড ইউজ করেন, তাহলে সেগুলো দেখার পর একজন কাস্টমার মনে করবেন তিনি ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করলে অল্প টাকা খরচ করে বেশি বেনিফিট পেতে পারবেন। যেমন: যখন কোনো প্রোডাক্টে ডিসকাউন্ট দেয়া হয় এবং সেটা প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশনে লেখা থাকে, তখন কাস্টমারদের ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করার টেন্ডেন্সি অনেক বেশি থাকে। 

আবার অনেক কন্টেন্টে পাওয়ার ওয়ার্ড হিসাবে কুইক কিংবা ফেইল প্রুফ ইত্যাদি ওয়ার্ডও ইউজ করা হয়। যখন একজন কাস্টমার এই ওয়ার্ডগুলো দেখেন, তখন তিনি মনে করেন যদি তিনি এই প্রোডাক্টটা পারচেজ করেন, তাহলে তিনি অল্প এফোর্টে বেশি ভ্যালু পেতে সক্ষম হবেন। যেমন ধরুন, কোনো হেয়ার ওয়েলের ডেসক্রিপশনে যদি উল্লেখ করা হয় এই হেয়ার অয়েল ইউজ করলে সবচেয়ে দ্রুত চুল গজাবে, তাহলে মানুষ সেই হেয়ার অয়েলটাই বেশি পারচেজ করবেন। কারণ এখানে সবচাইতে কম সময়ে চুল গজানোর গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে , যা অন্যান্য হেয়ার অয়েল দিতে পারবে না বলে কাস্টমাররা মনে করেন। 

পরিশেষে, 

এখন আপনারা নিজেদের ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ঠিক কিভাবে লিখলে তা কাস্টমারদেরকে প্রোডাক্ট পারচেজ করার ডিসিশন নিতে হেল্প করতে পারে তা বুঝতে পারছেন। সবসময় মনে রাখবেন, ই কমার্স বিজনেস বেশ কম্পিটিটিভ একটা ফিল্ড। তাই যদি পারসুয়েসিভ টোনে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন সাইটে পোস্ট করতে না পারেন, তবে ক্লায়েন্টের সংখ্যা একদমই বাড়বেনা। তাই প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন লেখার সময় এই টেকনিকগুলো ফলো করে আপনার প্রতিযোগিতামুলক বাজারে এগিয়ে থাকুন। 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুনঃ

Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

ইকমার্স সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস এবং নিউজ পেতে আমাদের সাথে থাকুন

* indicates required