কীভাবে আপনার ব্র্যান্ডের অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করবেন

অনেকেই মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভালো করতে হলে ভাইরাল হওয়াটা জরুরী। এতে ব্র্যান্ড এর পরিচিতি সাময়িকভাবে বাড়ালেও আপনার সেলস বাড়বে এমন নিশ্চয়তা নেই। 

সুদীর্ঘ সময়কাল ধরে অডিয়েন্স এর কাছে আপনার ব্র্যান্ডের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ভাইরাল হওয়ার চেয়ে উত্তম পন্থা ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি। বিশেষ করে, ছোট পরিসরের বিজনেসের ক্ষেত্রে ভাইরাল হওয়ার চেয়ে পেইজের অথেন্টিসিটি বা বিশ্বস্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করাই শ্রেয়, যাতে করে আপনি কাস্টমার ধরে রাখতে পারেন। 

চলুন জেনে নেই- কিভাবে আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একটি অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করবেন- এই ব্যাপারে বড় বড় উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্টরা কি বলছেন:

১. আপনার অডিয়েন্স এর জন্য উপযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বেছে নিন

প্রতিটা বিজনেসের অডিয়েন্সের ধরন যেমন আলাদা, ঠিক তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর বৈশিষ্ট্যও আলাদা। বিজনেস এর প্রচারের জন্য টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, লিংকডইন ও পিন্টারেস্ট সহ অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে সব প্লাটফর্মেই আপনার ব্র্যান্ড এর জন্য কার্যকরী এমনটি না।    

কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশি সেটা খুঁজে বের করে আপনি সেই প্ল্যাটফর্মের দিকেই অধিক মনোযোগী হন। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য টিকটক, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম সবচেয়ে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম।

২. কোন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আপনার ব্র্যান্ডের জন্য উপযোগী?

কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার ব্র্যান্ড এর উপস্থিতি থাকবে সেটা নির্ধারণ করার পর এবার আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কি ধরনের কনটেন্ট তৈরি করবেন? 

ভেবে দেখুন- আপনার লক্ষ্য কি, আপনার অডিয়েন্স কারা এবং আপনি আপনার ব্র্যান্ডকে কিভাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন। যেমন ধরুন:আপনার ব্র্যান্ড যদি হয়ে থাকে রান্নার উপকরণ এর, তাহলে কি আপনি অডিয়েন্সকে সেই উপকরণগুলো ব্যবহার করে কিভাবে রান্না করা যায় সেটার ভিডিও দেখাবেন? নাকি শুধু রান্নার রেসিপি শেয়ার করবেন? 

আপনার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আকর্ষণীয়ভাবে অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরতে আপনি ব্লগ, অডিও কিংবা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। এরপর সেই কনটেন্টের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। 

আপনি অবশ্যই একই সাথে একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, যেমন আপনি টিকটক এ একটা রান্নার ভিডিও শেয়ার করলেন পাশাপাশি সেই রান্নার ছবিটা আপলোড করে দিলেন ইনস্টাগ্রামে। আর আপনার বিজনেসের রিয়েল টাইম আপডেট শেয়ার করার জন্য বেছে নিলেন ফেসবুক।  

৩. আপনার ব্র্যান্ড এর সঠিক পরিচিতি তুলে ধরুন

আপনার ব্র্যান্ডের এবং আপনার নিজের স্টোরি আপনার অডিয়েন্সের সামনে নিয়ে আসুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই অথেনটিক তথ্য অডিয়েন্সের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার কমিউনিটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। শুধুমাত্র মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কোন ধরনের ভুল তথ্য শেয়ার করবেন না। 

আপনি কে, কোত্থেকে উঠে এসেছেন এবং কিভাবে আপনার ব্র্যান্ডকে দাঁড় করিয়েছেন তার পেছনের সত্যিকার গল্প সবার সামনে তুলে ধরুন। 

প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পেছনের সংগ্রামের গল্প নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতুহল কাজ করে। তাই আপনার নিজের গল্প শেয়ার করলে অডিয়েন্স এর আপনার সাথে এটাচমেন্ট তৈরি হবে। কিন্তু সে গল্প অবশ্যই সত্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। তাহলেই আপনি আস্তে আস্তে আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একটি অথেন্টিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করতে পারবেন।

৪. অডিয়েন্স এর সাথে লাইভে আসুন

ব্র্যান্ডের অথেন্টিসিটি বাড়ানোর আরেকটি চমৎকার মাধ্যম হলো লাইভ সম্প্রচার। অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও কিংবা ছবির প্রতি কাস্টমাররা পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেনা। তাই লাইভে এসে তাদের সব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া এবং আপনার প্রোডাক্ট এর খুঁটিনাটি তাদেরকে দেখানোর মাধ্যমে সহজেই তাদের আস্থা অর্জন করতে পারেন। 

লাইভে আপনি সরাসরি আপনার ফলোয়ারদের সামনে বসে তাদের সকল জিজ্ঞাসা, সন্দেহ দূর করতে পারেন! শুধু তাই নয়, এতে করে আপনার ব্র্যান্ডের সাথে তাদের এটাচমেন্টও বাড়বে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অথেন্টিসিটি বাড়ানোর জন্য  উদ্যোক্তারা টিকটক লাইভে এসেই তাদের অর্ডারগুলো প্যাকেজিং করছেন। 

৫. অডিয়েন্স কি দেখতে বেশি পছন্দ করে তা জানার চেষ্টা করুন

কোন ধরনের কন্টেন্ট আপনার অডিয়েন্স পছন্দ করে কিংবা তারা কোন প্রোডাক্ট দেখতে চায়, সে সম্পর্কে তাদেরকে প্রশ্ন করুন। দর্শকদের থেকে ভোট নেওয়ার জন্য টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক পোলিং (Poll) ফিচার চালু করেছে। এছাড়াও কিভাবে আপনার বিজনেস পলিসি আরও উন্নত করা যায় কিংবা আপনার ব্র্যান্ডের সার্ভিস সম্পর্কে অডিয়েন্সের কোন মতামত আছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করুন ফিডব্যাক নেয়ার মাধ্যমে। 

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পোলের মাধ্যমে আপনি অডিয়েন্স এর ভোট গণনা করতে পারবেন। যে ধরনের কনটেন্ট অডিয়েন্স পছন্দ করে আপনি সে ধরনের কনটেন্ট বেশি তৈরি করার চেষ্টা করুন। অথবা যে ধরনের প্রোডাক্ট পেতে তারা আগ্রহী সে ধরনের প্রোডাক্ট বেশি বেশি নিয়ে আসুন। 

যখন আপনি অডিয়েন্সের চাহিদা ও মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিবেন তখন আপনি তাদের কাছে আরও বেশি বিশ্বস্ত হয়ে উঠবেন। আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে।

৬. কাস্টমার রিভিউ শেয়ার করুন

আপনার ব্র্যান্ড এর কাস্টমারদের জন্য আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ কিংবা মতামত দেওয়ার অপশন রাখুন। অতঃপর আপনার কাস্টমারদের দেওয়ার রিভিউ এবং মতামত আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। এতে করে আপনার পেইজের অথেন্টিসিটি বৃদ্ধি পাবে কেননা অনেকেই কোন নতুন ব্র্যান্ডকে বিশ্বাস করার আগে পুরনো কাস্টমারদের অভিজ্ঞতা যাচাই করেন। 

আপনার প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং সার্ভিস যদি ভালো হয় তাহলে অবশ্যই কাস্টমাররা ভালো অভিজ্ঞতাই ব্যক্ত করবেন। আর সেই ভালো রিভিউ যখন আপনি অডিয়েন্স এর সামনে তুলে ধরবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। 

কোন কাস্টমার যদি আপনাকে ইনবক্সে রিভিউ দেন সেটা শেয়ার করার পূর্বে অবশ্যই তার অনুমতি নেওয়া উচিত। আর কোন কাস্টমার যদি তার পরিচয় গোপন রেখে রিভিউ শেয়ার করতে চান, সেটা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। 

৭. একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ক্রস- পোস্ট করুন

এক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপলোড করা কনটেন্ট অন্য প্লাটফর্মে শেয়ার করুন, হতে পারে এটি আপনার সেলস বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। 

যেমন ধরুন, টিকটকে হাই পারফর্মিং কোন ভিডিও আপনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে দুটি কাজ হবে, প্রথমত -একই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আপনার একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্টিভ থাকলো, দ্বিতীয়ত- আপনার প্রোডাক্টের সেলস ও বেড়ে গেল। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ফলোয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। 

আসলে প্রত্যেকটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর ধরণ আলাদা। একই কন্টেন্টের পারফরম্যান্স প্ল্যাটফর্ম ভেদে ভিন্ন হবে। কারণ ভিন্ন প্লাটফর্মের অডিয়েন্স ভিন্ন। তাই আপনি একই কন্টেন্ট একাধিক প্লাটফর্মে শেয়ার করে দেখতে পারেন কোন প্লাটফর্মে সেটির অধিক সেলস জেনারেট করছে।

আরো পড়ুনঃ 

বিশ্বের সেরা ৬টি ব্র্যান্ডের অনন্য কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স এর গল্প

৮. প্রফেশনাল হোন, একটিভ থাকার চেষ্টা করুন

আপনি একটি অথেন্টিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তখনই তৈরি করতে পারবেন যখন আপনি কাস্টমারের প্রতি প্রফেশনাল বিহেভিয়ার দেখাবেন। এইজন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ থাকতে হবে, নিয়মিত কাস্টমারের মেসেজ চেক করতে হবে, অল্প সময়ের মধ্যে মেসেজ এর রিপ্লাই দিতে হবে। যদি আপনার পক্ষে সব সময় একটিভ থাকা সম্ভব না হয় তাহলে পেইজের জন্য মডারেটর রাখুন, তারপরও কাস্টমারকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাবেন না। 

কাস্টমারের মেসেজ এর উত্তর দেওয়ার সময় অবশ্যই সুন্দর ও মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে হবে, ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শুনতে হবে। আপনার ব্যবহারেই আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে এবং কাস্টমারের সাথে একটা মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হবে। 

৯. আপনার পোস্ট গুলোকে নির্দিষ্ট ব্যাচ এ ভাগ করুন, সময় বাঁচান !

প্রতিদিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা এবং পোস্ট করা আসলেই অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টকর ব্যাপার, বিশেষ করে তখন যখন আপনার বিজনেসের সম্পূর্ণ দায়িত্বই আপনার নিজের ঘাড়ে! অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট আপলোড করা মিস ও হয়ে যেতে পারে। 

তাই সময় বাঁচানো এবং কষ্ট কমানোর জন্য আপনার পোস্টগুলোকে নির্দিষ্ট ব্যাচে ভাগ করে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনে আপনি সব ফটোসেশন কিংবা ভিডিও ধারণ শেষ করে ফেলতে পারেন। তারপর পরবর্তী এক অথবা দুই সপ্তাহের সকল কন্টেন্ট আপলোড করে নির্দিষ্ট সিডিউল সেট করে দিতে পারেন। 

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো সিডিউলিং এর জন্য বিভিন্ন ফিচার যোগ করেছে। সেগুলো ব্যবহার করে আপনি নিজে সবসময় একটিভ না থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত পোস্ট আপলোড নিশ্চিত করতে পারবেন। যখন আপনার অডিয়েন্স নির্দিষ্ট সময়ে আপনার কনটেন্ট দেখতে পাবে, তখন আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের সুধারণা বৃদ্ধি পাবে।

১০. সর্বোপরি কনটেন্ট এর মান বৃদ্ধি করুন

আপনার ব্র্যান্ড কতটা অথেনটিক সেটার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আপনার কনটেন্ট। অডিয়েন্স আপনার কনটেন্ট দেখেই আপনার সম্পর্কে ধারনা করবে। তাই কনটেন্ট কোয়ালিটিতে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ নয়। সংখ্যায় কম হলেও সর্বোচ্চ মান ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

তাছাড়া এংগেজমেন্ট চেক করার জন্য কনটেন্টের ধরণ চেঞ্জ করে দেখতে পারেন। একেক সময় একেক টাইপের কনটেন্ট আপলোড করে দেখুন, কোন টাইপ কনটেন্ট অডিয়েন্সের বেশি রেসপন্স পাচ্ছে। 

পরিশেষে,  

আপনার ব্যক্তিত্ব এবং আপনার প্রচেষ্টার সমন্বয় হলো আপনার ব্র্যান্ড। আপনি যা, তাই আপনার অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরুন। প্রফেশনাল সার্ভিস দিন, কাস্টমারের প্রতি লয়াল থাকুন এবং অথেনটিক তথ্য শেয়ার করুন। তাহলে আপনার ব্র্যান্ডের অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি আপনাই তৈরি হবে।

Better keep yourself clean and bright; you are the window through which you must see the world. 

– George Bernard Shaw

 

Summary
কীভাবে আপনার ব্র্যান্ডের অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করবেন
Article Name
কীভাবে আপনার ব্র্যান্ডের অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করবেন
Description
আপনার ব্যক্তিত্ব এবং আপনার প্রচেষ্টার সমন্বয় হলো আপনার ব্র্যান্ড। আপনি যা, তাই আপনার অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরুন। প্রফেশনাল সার্ভিস দিন, কাস্টমারের প্রতি লয়াল থাকুন এবং অথেনটিক তথ্য শেয়ার করুন। তাহলে আপনার ব্র্যান্ডের অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি আপনাই তৈরি হবে। কিভাবে আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একটি অথেনটিক সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তৈরি করবেন- এই ব্যাপারে বড় বড় উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্টরা কি বলছেন।
Author
Publisher Name
DeshiCommerce Blog
Publisher Logo
এই পোস্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুনঃ

Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

ইকমার্স সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস এবং নিউজ পেতে আমাদের সাথে থাকুন

* indicates required