ফেসবুক অ্যাডের রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেকশন ও ইউজ টিপস

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল মানুষের কগ্নেটিভ বায়াসকে ম্যানুপুলেট করে তাদের কেনাকাটা সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে বিজনেস প্রোমোট করে সেলস বাড়াতে ফেসবুক অ্যাডস বরাবরই ইফেকটিভ রোল প্লে করে। 

তবে অনেকেই কমপ্লেইন করেন যে তারা সঠিকভাবে ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করালেও এক্সপেকটেড রেজাল্ট আসেনা। এটি কেন হয় জানেন? সোশ্যাল প্রুফ না থাকার কারণে!

এই সোশ্যাল প্রুফের একটি উদাহরণ হলো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল, যা ফেসবুক অ্যাডস থেকে বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আজকের লেখায় আমরা জানবো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার উপায় সম্পর্কে। এ উপায়গুলো জানার মাধ্যমে আপনারা ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল হবে  এবং আপনি আরো বেশি সেলস জেনারেট করতে পারবেন। 

সোশ্যাল প্রুফ কি? 

১৯৮৪ সালে রবার্ট সিয়াল্ডিনি তার লেখা বই “ইনফ্লুয়েন্স” এ সোশ্যাল প্রুফ টার্মটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। সোশ্যাল প্রুফকে ইনফরমেশনাল সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সও বলা হয়, যা একজন মানুষের অন্যদের বিহেভিয়ার বা অ্যাকশন দেখে সে অনুযায়ী কাজ করার মেন্টালিটিকে বোঝানো হয়। 

এই সোশ্যাল প্রুফ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাইপড মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজির মধ্যে একটি। একদম সহজ ভাষায় সোশ্যাল প্রুফ হচ্ছে কোনো বিজনেস বা  কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস পারচেজ করার পর কাস্টমাররা যে বেনিফিট পেয়েছেন তা বিভিন্ন উপায়ে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে প্রেজেন্ট করা। সোশ্যাল প্রুফের মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো প্রোডাক্টের ভ্যালু বা পপুলারিটি কাস্টমারদের বোঝানো, যাতে করে তারাও সেই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেন। 

সোশ্যাল প্রুফের কনসেপ্ট ক্লিয়ারলি বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেই।

ধরুন, আপনি কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য একটি ই-কমার্স সাইটে ভিজিট করলেন। তারপর সার্চ করে যে প্রোডাক্ট কিনতে চাইছেন সেটা খুঁজে বের করলেন। তারপর স্ক্রল করতে করতে দেখতে পেলেন ওই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেছেন এমন দশজন কাস্টমার রিভিউ সেকশনে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন। 

এই রিভিউগুলো দেখার পর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে প্রোডাক্টটি পারচেজ করবেন। একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সাইটে থাকা পজেটিভ রিভিউগুলোই কিন্তু আপনাকে হেল্প করলো প্রোডাক্টটি পারচেজ করার ফাইনাল ডিসিশন নিতে। 

এখানে কাস্টমারদের রিভিউ বা ক্লাস্টমার টেস্টিমনিয়াল হচ্ছে একধরণের সোশ্যাল প্রুফ।  

সোশ্যাল প্রুফের আরো কয়েকটি টাইপ হলো পজিটিভ মিডিয়া কভারেজ, সেলিব্রিটি এনডোর্সমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ইত্যাদি।

ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন এত ইম্পর্ট্যান্ট? 

সোশ্যাল প্রুফ হিসেবে ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন গুরুত্ব বহন করে? অনেক বিজনেস ওনার রয়েছেন যারা এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননা। অথচ যদি অ্যাডে কয়েকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ শেয়ার করা হয়, তাহলে তা সেল জেনারেট হওয়ার পসিবিলিটি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। 

যখন ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করা হয়, তখন কাস্টমারদের সেই বিজনেস কোম্পানির প্রতি ক্রেডিবিলিটি ও ট্রাস্ট অনেক বেড়ে যায়৷ এখনকার দিনে অনলাইন বেইজড বিজনেসের সংখ্যা অনেক বেশি। শুধু ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমেই নয়, এখন ফেসবুকে কিংবা ইনস্টাগ্রাম ভিত্তিক বিজনেসের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। 

এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, একটি প্রোডাক্ট হয়তো অনেক জায়গায় এভেইলেবল থাকে। আবার এখন ফেইক প্রোডাক্টেরও অভাব নেই। এই অবস্থায় একজন কাস্টমার কোথা থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করবেন সেই ডিসিশন নিতে হেল্প করে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল । 

কিভাবে? 

যখন একজন কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট কেনার সময় আরো অনেকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ দেখতে পান, তখন সে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ও অথেন্টিসিটি নিয়ে তার মনে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা। তখন তিনি সেই রিভিউয়ের ওপর ভরসা করেই প্রোডাক্টটি কিনে ফেলেন।

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সম্পর্কে কয়েকটি ইন্টারেস্টিং তথ্য 

  • ট্রাস্ট পাইলটের (Trust Pilot) একটি রিসার্চে দেখা গেছে, গোটা বিশ্বের প্রায় ৮৯ পারসেন্ট কাস্টমারই কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে অনলাইনে সেটির রিভিউ সম্পর্কে সার্চ করেন।
  • বিজরেট (Bizrate) দাবি করে, প্রায় ৫৫ পারসেন্ট কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার আগে অন্তত ৪টি রিভিউ পড়ার চেষ্টা করেন।
  • ব্রাইট লোকাল (Bright Local) এর মতে, ৭৯ পারসেন্ট কাস্টমার পারসোনাল রেকমেন্ডেশনের পাশাপাশি অনলাইনে থাকা পজিটিভ রিভিউগুলোও ট্রাস্ট করেন৷ 

শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে কাস্টমারের হয়তো একটি প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তাও তিনি কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল দেখে ইমপ্রেসড হয়ে সেটি কেনেন। 

যেমনঃ দেশে যখন কোরিয়ান স্কিনকেয়ার আইটেমের হাইপ উঠেছিলো, তখন এই কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক দেখেই বহু মানুষ এই আইটেমগুলো কিনেছিলেন শুধুমাত্র নিজেরা একবার ইউজ করে দেখবেন বলে। এখনও কিন্তু আমাদের দেশে এই প্রোডাক্টগুলোর কদর কমেনি। 

সুতরাং যদি ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার রিভিউ অ্যাড করা হয়, সেটি অনেক মানুষকেই প্রোডাক্ট পারচেজ করতে ইনফ্লুয়েন্স করে। 

একই সাথে বলা যেতে পারে, ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করার মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট যে সত্যিকার অর্থেই সবাইকে বেনিফিট দিতে ক্যাপাবল, তা পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে সবচেয়ে ইফেকটিভ ওয়েতে তুলে ধরা যায়। এর ফলস্বরূপ বিজনেসে ধীরে ধীরে সেল বাড়তে শুরু করে। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করবেন কিভাবে? 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেকটিভ উপায়গুলো হচ্ছে –

০১। কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেক্টিভ উপায় হচ্ছে টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা। অনেক সময় কাস্টমারদের কাছে একটি প্রোডাক্ট ভালো লাগলেও তারা সময়ের অভাবে কিংবা ইচ্ছা না থাকার কারণে প্রোডাক্টের রিভিউ দেন না। 

তাই যদি একটি কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করেন এবং সে কনটেস্টের উইনারের জন্যে কোনো রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করা অনেক কাস্টমারই মোটিভেটেড হবেন প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিজের পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করার জন্য। এই কনটেস্ট নিজের ই-কমার্স সাইটে অ্যারেঞ্জ করতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেজেও করতে পারেন। 

যদি টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করতে চান, সেক্ষেত্রে শুরুতেই কনটেস্ট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব ডিটেইল সম্পর্কে সবাইকে ক্লিয়ারলি জানান। যেমনঃ কনটেস্টের ডেডলাইন, কিভাবে পারসিটিপেট করতে হবে সেটির নিয়ম, কিভাবে উইনার সিলেক্ট করা হবে সেটির ইনফরমেশন ইত্যাদি। পাশাপাশি কনটেস্টে উইনার হতে চাইলে কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা এ বিষয়টিও সবাইকে জানাতে হবে।  

একই সাথে যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করেছে, তাদেরকে পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করতে আরো একটু মোটিভেটেড করে তোলার জন্য কনটেস্টে উইনারের জন্য কি রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকছে সেটিও সবাইকে জানাতে পারেন। এভাবে যদি কনটেস্ট এরেঞ্জ করেন, তাহলে খুব সহজেই অনেকজন কাস্টমারের কাছ থেকে টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করতে পারবেন। 

০২৷ কাস্টমারদের টেস্টিমনিয়াল প্রোভাইড করার জন্য ইমেইল রিকোয়েস্ট 

কাস্টমারদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজিটিভ ফিডব্যাক কিংবা টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার একটি ট্রেডিশনাল এবং একই সাথে সুপার ইফেকটিভ উপায় হচ্ছে তাদেরকে ই-মেইল সেন্ড করা। যদি কাস্টমারদের কাছে সঠিকভাবে ই-মেইল সেন্ড করতে পারেন, তাহলে টেস্টিমনিয়াল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। 

এই ই-মেইলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে? 

যখন একজন কাস্টমারেরকে রিভিউ দেয়ার জন্য ইমেইল করবেন, তখন শুরুতেই তাকে ধন্যবাদ জানান আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য। 

এরপর কয়েকটি কোশ্চেন করুন যেগুলোর অ্যান্সার আপনি পরবর্তীতে টেস্টিমনিয়াল হিসেবে ইউজ করতে পারবেন। যেমনঃ 

  • আপনার কাছ থেকে কি উদ্দেশ্যে বা কোন সমস্যার সমাধান করতে ওই কাস্টমার প্রোডাক্ট পারচেজ করেছিলো? 
  • আপনার প্রোডাক্ট তাকে কতটুকু বেনিফিট দিয়েছে বা তার প্রবলেম কতটুকু সলভ করতে পেরেছে? 
  • আপনার প্রোডাক্টের কোন ফিচারগুলো কাস্টমারের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?  
  • কাস্টমার কি আপনার প্রোডাক্ট অন্যদের পারচেজ করতে রেকমেন্ড করবেন?  
  • আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমার আবার পারচেজ করতে ইন্টারেস্টেড কিনা? 

এখন প্রশ্ন হলো,

কাস্টমাররা কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার কতদিন পর এই ই-মেইল সেন্ড করবেন? 

আমার সাজেশন হলো তাদের পারচেজের অন্তত এক সপ্তাহ পর তাদের ফিডব্যাক জানতে চেয়ে ই-মেইল করা। কারণ বেশিরভাগ প্রোডাক্ট এক সপ্তাহ ইউজ করলেই কাস্টমারদের মনে এগুলোর প্রতি ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট হয়ে যায়। তাই এই সময়ের ভেতর ইমেইল করা হলে রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও অনেক বেশি থাকে। 

সবসময় চেষ্টা করবেন ঠিক সময়ে কাস্টমারদের সাথে ইমেইলে কমিউনিকেট করতে। কারণ যদি খুব বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও কমে যেতে শুরু করবে। 

টেস্টমনিয়াল কালেক্ট করার জন্য ই-মেইলের বডিতে যদি কোনো সেপারেট লিংক প্রোভাইড করেন, তাহলে সেই লিংকে দেয়া ওয়েব পেইজটি যেন মোবাইল অপটিমাইজড হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। 

 

এক্ষেত্রে পেজের ডিজাইন সিম্পল রাখুন এবং পেইজে থাকা টেক্সটের ফন্ট ও সাইজ যেন সবার জন্য সুবিধাজনক হয় সেদিকে নজর দিন৷ এতে করে বেটার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রোভাইড করা পসিবল হয় এবং কাস্টমাররাও রিভিউ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

ফেসবুক অ্যাডসের ক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস 

ফেসবুক অ্যাডস বর্তমানে প্রতিটি বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তোলার এক মোক্ষম হাতিয়ার। কারণ এই অ্যাডসের মাধ্যমে একজন বিজনেস ওনার ফেসবুক ইউজারদের লোকেশন, এইজ কিংবা ইন্টারেস্টের ওপর ভিত্তি করে অডিয়েন্স টার্গেটিং করতে পারেন। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে সেলস বাড়াতে এই টিপসগুলো ফলো করুন-

০১। যখন আপনি টেস্টমনিয়াল বেইজড ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করাতে যাবেন, তখন এমন অডিয়েন্সদের টার্গেট করুন যাদের সাথে আপনার বিজনেসের কোনো না কোনোভাবে ইন্টার‍্যাকশন হয়েছে। অর্থাৎ অডিয়েন্স টার্গেটিংয়ে এমন মানুষদের রাখুন, যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ না করলেও আপনার ব্র‍্যান্ডকে অলরেডি কিছুটা হলেও চেনে। এতে করে অ্যাড ক্যাম্পেইন থেকে বেটার রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হয়। 

যেমন ধরুন, একজন মানুষ আপনার ফেসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্টে কোনো প্রোডাক্টের প্রাইস জানতে চেয়ে সে প্রোডাক্টটি আর কিনলেননা। এখন তিনি যদি আপনার পেইজের অ্যাড দেখতে পান এবং যদি সেখানে কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক তার নজরে আসে, তাহলে তার সেই প্রোডাক্ট পারচেজ করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। 

০২। যখন অ্যাডসের জন্যে অ্যাড কপি লিখবেন, তখন সেটির টোন ও ল্যাংগুয়েজ যথাসম্ভব সিম্পল রাখুন। চেষ্টা করুন অ্যাড কপির লেন্থ খুব বেশি বড় না করে যে মেসেজটি দিতে চাইছেন সেটি পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এছাড়াও কাস্টমারদের পেইন পয়েন্টগুলো হাইলাইট করতে ভুলবেননা।  

০৩। ক্লায়েন্ট টেস্টিমনিয়াল যুক্ত ফেসবুক অ্যাডের কন্টেন্টে যতটুকু সম্ভব ক্রিয়েটিভি শো করুন। বিশেষ করে অ্যাডের ইমেজগুলোর ডিজাইন আই ক্যাচিং রাখার ট্রাই করুন৷ এক্ষেত্রে যদি আপনার গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে নলেজ থাকে, তাহলে সেটি একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করবে৷ 

০৪। কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সঠিকভাবে হাইলাইট করতে ক্যারোসেল ফরম্যাটে ফেসবুকে অ্যাডস ক্যাম্পেইন রান করান। একেকটি ক্যারোসেল অ্যাডে আপনি পাঁচটিরও বেশি ক্লায়েন্ট রিভিউ স্লাইড ফরম্যাটে অ্যাড করতে পারবেন। চাইলে রিভিউয়ের সাথে কাস্টমারের ফটোও অ্যাড করতে পারেন। এতে করে অডিয়েন্সের আপনার বিজনেসের প্রতি ক্রেডিবিলিটি আরো বাড়বে।

এভাবে অ্যাড রান করানোর মূল বেনিফিট হলো এই অ্যাডের মাধ্যমে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালগুলো খুব সহজেই টার্গেট করা অডিয়েন্সের চোখে পড়ে। এতে করে বেশি বেশি সেলস জেনারেট করাও পসিবল হয়। 

০৫। অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করানোর পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট ট্র‍্যাকিংয়েও জোর দিন৷ স্পেশালি অ্যাড কনভার্সন, সিটিআর এবং ফ্রিকুয়েন্সি -এ তিনটি সবসময় মনিটর করুন৷ এতে করে বুঝতে পারবেন অ্যাড ক্যাম্পেইন কতটুকু সাকসেসফুল হয়েছে। 

যাদের নতুন বিজনেস তারা কি করবেন?

যাদের বিজনেস নতুন, তারা কিভাবে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে ভালো আউটপুট পেতে পারেন? জেনারেলি বিজনেসের শুরুর দিকে সেলের পরিমাণ সেভাবে থাকেনা বলে রিভিউও পাওয়া সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেইজে ভিজিটরদের কমেন্ট টেস্টিমনিয়াল হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। 

পরিশেষে 

কাস্টমার টেস্টিমোনিয়াল কে কখনোই অবহেলা করবেন।  কারণে কি কাস্টমারের কাছে আপনার বিজনেসটিকে আস্থাশীল করে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।  পাশাপাশি কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট পছন্দ করছে কিনা অথবা তারা আপনার প্রোডাক্ট,  ব্যান্ড সম্পর্কে কি ধরনের চিন্তা পোষণ করে সে সম্পর্কে জানতে হলেও কাস্টমার টেস্টমনিয়াল প্রয়োজন।

Summary
ফেসবুক অ্যাডের রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেকশন ও ইউজ টিপস
Article Name
ফেসবুক অ্যাডের রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেকশন ও ইউজ টিপস
Description
কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কিভাবে ফেসবুক অ্যাড এর পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে সে বিষয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং কিভাবে আপনি কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করবেন এবং প্রপার ব্যবহার নিশ্চিত করবেন সেই বিষয়েও ধারনা দেকবার চেষ্টা করা হয়েছে।
Author
Publisher Name
DeshiCommerce Blog
Publisher Logo
এই পোস্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুনঃ

Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

ইকমার্স সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস এবং নিউজ পেতে আমাদের সাথে থাকুন

* indicates required